একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে প্রায় ৪০টি দেশে আপনি যেতে পারবেন আগে থেকে ভিসা না নিয়েই। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের কয়েকটি ছোট দ্বীপ দেশ।
একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে আপনি ভিসা ছাড়াই ১৪ দিন পর্যন্ত ভুটান ভ্রমণ করতে পারবেন। দেশটিতে দেখতে পারবেন এর নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য, তুষারে ঢাকা পর্বত, বন এবং স্বচ্ছ নদী। ভুটানের কিছু বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে টাইগারস নেস্ট মনাস্ট্রি, পুনাখা জং এবং দোচুলা পাস।
ভুটানের ঠিক পশ্চিমে অবস্থিত দেশ নেপালও তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। হিমালয়ের দেশটিতে বাংলাদেশিরা ভিসা ছাড়াই ৯০ দিন পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবেন। নেপালের কিছু জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে জীবন্ত দেবীর মন্দির, ভক্তপুর দরবার স্কোয়ার এবং পশুপতিনাথ মন্দির।
স্বচ্ছ পানি আর সুন্দর সৈকতের জন্য পরিচিত মালদ্বীপ। দেশটি স্কুবা ডাইভিংয়ের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। মালদ্বীপের কিছু বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে হুকুরু মিসকি মসজিদ ও জাতীয় জাদুঘর। একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে আপনি মালদ্বীপে ভিসা ছাড়াই ৩০ দিন পর্যন্ত বেড়াতে পারবেন।
এ ছাড়া, বেশ কয়েকটি ছোট দ্বীপ দেশ বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা ছাড়াই ভ্রমণের সুযোগ দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে কুক দ্বীপপুঞ্জ, ফিজি, ভানুয়াতু, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, বার্বাডোস, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। এই দেশগুলো সুন্দর সৈকত ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জীবনধারার জন্য পরিচিত।
উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের কোনো ভিসাই লাগবে না এমন দেশগুলো হলোঃ
১. বাহামাস (চার সপ্তাহ পর্যন্ত)
২. বার্বাডোস (ছয় মাস)
৩. ডোমিনিকা (ছয় মাস)
৪. ফিজি (চার মাস)
৫. গাম্বিয়া (তিন মাস)
৬. গ্রানাডা (তিন মাস)
৭. হাইতি (তিন মাস)
৮. জ্যামাইকা
৯. লেসোথো (তিন মাস)
১০. মালাওয়ি (তিন মাস)
১১. মাইক্রোনেশিয়া (এক মাস)
১২. সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস
১৩. সেইন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রানাডিনস (এক মাস)
১৪. ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো
১৫. ভানুয়াতু (এক মাস)
১৬. মন্টসেরাত (তিন মাস)
১৭. টার্ক অ্যান্ড সিসেরো আইল্যান্ড (এক মাস)
১৮. ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ড (এক মাস)
১৯. মাক্রোনেশিয়া (এক মাস)
২০. নিউয়ি (এক মাস)
বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন, তবে সেখানে পৌঁছে ভিসা করতে হবে এমন দেশগুলো হলো:
১. ভুটান
২. বলিভিয়া (তিন মাসের ভিসা)
৩. কেপ ভার্দে
৪. কমোরোস
৫. গিনি বিসাউ (তিন মাস)
৬. মাদাগাস্কার (তিন মাস)
৭. মালদ্বীপ (এক মাস)
৮. মাওরিতানিয়া
৯. মোজাম্বিক (এক মাস)
১০. নেপাল (এক মাস)
১১. নিকারাগুয়া (তিন মাস)
১২. তিমরলেস্টে (এক মাস)
১৩. টোগো (সাত দিন)
১৪. তুভালু (এক মাস)
১৫. উগান্ডা
১৬. বুরুন্ডি
১৭. জিবুতি (এক মাস)
১৮. আজারবাইজান (এক মাস)
১৯. ম্যাকাউ (এক মাস)
বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকলে ভিসা লাগবে না তবে বিশেষ অনুমোদন লাগবে এমন দেশগুলো হলো :
১. কিউবা (টুরিস্ট কার্ড জোগাড় করতে হবে, মেয়াদ তিন মাস)
২. সামোয়া (ঢোকার অনুমতিপত্র থাকলেই হলো, মেয়াদ দুই মাস)
৩. সেচেলেস (ভ্রমণের অনুমতিপত্র থাকতে হবে, মেয়াদ এক মাস)
৪. সোমালিয়া (ওই দেশে থাকা কেউ স্পন্সর করলে ভিসা পৌঁছেও করা যাবে, যার মেয়াদ হবে এক মাস। তবে সোমালিয়া পৌঁছানোর দুদিন আগে সেখানকার বিমানবন্দরে বিষয়টি জানিয়ে রাখতে হবে)
৫. শ্রীলংকা (ভ্রমণের জন্য ইলেকট্রনিক অনুমোদনপত্র, মেয়াদ এক মাস)
৬. লাওস (সরকারি কোনো সফরের নথিপত্র থাকলে ভিসা প্রয়োজন হবে না)