পুলিশ সদরদপ্তরের নির্দেশনায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে বিশেষ অভিযানে ১৫ দিনে প্রায় ২৪ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে ৭২ জন সন্ত্রাসী ও জঙ্গি রয়েছেন বলে জানায় পুলিশ। এছাড়া অভিযানে দুই লাখের বেশি ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. মনজুর রহমান এ তথ্য জানান।
পুলিশ সদরদপ্তরের মুখপাত্র জানান, বিজয় দিবস, বড়দিন ও থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন নিরাপদ করার লক্ষ্যে সারাদেশে বিশেষ অভিযান চলে। ১৫ দিনে ৩৩ হাজার ৪২৯টি অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে মোট গ্রেপ্তার করা হয় ২৩ হাজার ৯৬৮ জনকে। এর মধ্যে পরোয়ানাভুক্ত আসামি ১৫ হাজার ৯৬৮ জন। বাকি ৮ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বিভিন্ন অভিযোগে। এই আট হাজার জনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় নতুন মামলা হয়েছে পাঁচ হাজার ১৩২টি।
এআইজি মনজুর রহমান জানান, অভিযানে গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে- ৮টি শুটারগান, ৩টি পিস্তল, ৫টি এলএমজি, আটটি বন্দুক, একটি পাইপগান ও দেশিয় অস্ত্র।
এছাড়াও ১৫ দিনে মাদকের মধ্যে উদ্ধার হয়েছে- দুই লাখ ৮৬ হাজার ৫৯২ পিস ইয়াবা, গাঁজা সাত হাজার ৫৮১ কেজি, পাঁচ হাজার ৪১৫ বোতল ফেনসিডিল, ৮৬৯৮ গ্রাম হেরোইন ও ১১৭ গ্রাম ভয়ংকর মাদক ক্রিস্টাল মেথ (আইস)।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের অপারেশন শাখার পাঠানো এক আদেশ অনুসারে, দেশের সব পুলিশ ইউনিটের প্রধান ও সব জেলার পুলিশ সুপারদের ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযান চালাতে বলা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের আদেশে বলা হয়, গত ২০ নভেম্বর ঢাকা সিএমএম আদালত এলাকায় পুলিশ হেফাজত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি আসামি ছিনিয়ে নেয়ার প্রেক্ষাপট বিবেচনা ও মহান বিজয় দিবস, বড়দিন এবং থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে চলমান অভিযানের পাশাপাশি আগামী ১-১৫ ডিসেম্বর বিশেষ অভিযান পরিচালনা হবে।
আদেশে আরও বলা হয়, অন্যান্য স্থানের পাশাপাশি আবাসিক হোটেল, মেস, হোস্টেল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টারসহ অপরাধীদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাব্য স্থানগুলোতে কার্যকর অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
এছাড়াও পরিচালিত অভিযানে জঙ্গি, সন্ত্রাসী, মাদকসেবী ও কারবারি, অবৈধ অস্ত্রধারী, পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।